এই ওয়েবসাইট গুলো অনলাইনে অর্থ উপার্জনের রাস্তা তৈরি করে দিতে পারে – Websites To Earn Money Online

Best Websites To Earn Money Online: করোনা মানুষের রোজগার পদ্ধতির আগাগোড়া পাল্টে দিয়েছে। আগে মানুষ যেখানে অনলাইনে ইনকাম করার কথা সহজে ভাবতেই পারতো না, সেখানে বর্তমানে মানুষ অনলাইনে অর্থ উপার্জনের জন্য বিকল্প খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর সত্যি বলতে বর্তমান সময়ে নানানভাবে আপনি অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন।

তবে আপনি যদি শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই অনলাইনে কাজ করে টাকা উপার্জন করতে চান, তাহলে এসেছেন ঠিক জায়গায়। কারণ, এই প্রতিবেদনে ৯টি সেরা money earning website গুলোর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে চটপট জেনে নেওয়া যাক।  

অনলাইনে কাজ করে টাকা ইনকাম করার ওয়েবসাইট গুলো: Income Websites

এমনিতে গুগলে গিয়ে সার্চ করলে কিন্তু প্রচুর অর্থ উপার্জনকারী ওয়েবসাইট গুলো আপনারা অবশই পেয়ে যাবেন। তবে এই ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে কিছুটা হয়তো রিয়েল টাকা বা রিওয়ার্ড প্রদান করে আবার কিছু কিছু সাইট হয়তো আপনাকে কোনো টাকাই পেমেন্ট করেনা।

তাহলে এবার আপনি কিভাবে বুঝবেন যে কোন ওয়েবসাইট আপনাকে সত্যি টাকা দিবে? চিন্তা করতে হবেনা নিচে আমি আপনাদের সাথে সেই প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের নাম বলে দিচ্ছি যেগুলোতে গিয়ে আপনি নিজের ইন্টারেস্ট, পছন্দ এবং দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করে ওয়েবসাইট গুলোর থেকে রিয়েল টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।

ইনকাম সাইট:ইনকাম করার উপায়:
১. Upworkফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হয়।
২. Fiverr$5 চার্জ করে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা যায়।
৩. YouTube.comআপলোড করা ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে।
৪. Google AdSenseBlog বা Website-এ বিজ্ঞাপন দেখিয়ে।
৫. Guruফ্রিল্যান্সিং কাজ করে ইনকাম করা যায়।
৬. Facebook Marketplaceঅনলাইনে যেকোনো পণ্য বিক্রি করা যায়।
৭. Shutterstockএই সাইটে ছবি বিক্রি করে ইনকাম করা যায়।
৮. Dreamstimeছবি বিক্রি করে আয় করার সাইট।
৯. BananaBucksমাইক্রো জব গুলো সম্পূর্ণ করতে হয়।
১০. ySense.comসার্ভে সম্পূর্ণ করে ও রেফার করে।
১১. Freecash.comভিডিও দেখা, গেম খেলা, ডাউনলোড করা।

১. Upwork থেকে ইনকাম:

ফ্রীল্যান্সারদের অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য ও পছন্দের ওয়েবসাইট হল আপওয়ার্ক (Upwork)। এই ওয়েবসাইট যদিও সদস্যদের সরাসরি কাজে নিযুক্ত করে না, তবে এটি একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে, যার মাধ্যমে ফ্রীল্যান্সাররা তাদের পছন্দমতো কাজের প্রস্তাব পেয়ে থাকেন।

গ্রাফিক ডিজাইন, এডিটিং, লেখালেখি (কন্টেন্ট রাইটিং, স্ক্রিপ্ট রাইটিং, ঘোস্ট রাইটিং), ওয়েব ডিজাইন থেকে শুরু করে নানান রকমের কাজের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে থাকেন ফ্রীল্যান্সাররা। 

এই money earning freelancing site থেকে মোটা টাকা আয় করতে চাইলে হাজার রকমের বিষয়ে মাথা ঘামালে হবে না। কোনো একটি স্কিল বেছে নিয়ে সেই স্কিলে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এরপরে একটি ফ্রেশ প্রোফাইল বানিয়ে কাজের জন্য প্রস্তাব পাঠানো শুরু করতে হবে। শুরুতে কাজ পেতে সময় লাগবে যদিও, ধীরে ধীরে যখন আপনার প্রোফাইলের রেটিং বাড়তে থাকবে, নিয়মিত কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।  

২. Fiverr থেকে ইনকাম:

বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছে ফিভার (Fiverr)। এর জনপ্রিয়তা কোনো এক বিশেষ অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়। ফ্রীল্যান্স পরিষেবার কথা উঠলেই এক লহমায় বহু মানুষের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এই ওয়েবসাইটের নাম। এই ওয়েবসাইট নিযুক্তিকরণ, বহিস্করণ ও এইচআর ডিপার্টমেন্টের মতো ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি দেয় সদস্যদের।

এর মাধ্যমে যেমন ছোট সংস্থাগুলি নিজেদের শর্তে চাহিদা পূরণ করার সুযোগ পান, তেমন ফ্রীল্যান্সাররা স্বাধীনভাবে যে কোনো সময়ে যে কোনো ব্যবসার কাছে তাঁদের পরিষেবা বিক্রির সুযোগ পেয়ে থাকেন। 

জানলে হয়তো অবাক হবেন, অনেক সময়েই কাস্টোমাররা কাজের জন্য অগ্রিম টাকাও দিয়ে থাকেন। ভয়েস ওভার, লেখালেখি, ওয়েব ডিজাইন, ট্রান্সক্রিপশন, লোগো ডিজাইন প্রকৃতির ডিজিটাল পরিষেবার ক্ষেত্রে এই সুবিধাটি পাওয়া যায়।

এই website থেকে income করতে হলে আপনাকে শুরুতেই Fiverr-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজের একটি free account তৈরি করে profile setup করে নিতে হবে। Profile সেটআপ করার পর Fiverr Gigs গুলো খুঁজতে হবে এবং সেগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য আবেদন জানাতে হবে।

৩. YouTube থেকে ইনকাম:

অনলাইনে সক্রিয় থাকেন, কিন্তু ইউটিউবের নাম শোনেন নি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া মুশকিল। শুধুমাত্র সাইন আপ করার মাধ্যমে আপনি ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অংশ হতে পারেন এবং অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এই আর্টিকেলে উল্লেখিত প্রতিটি income করার website গুলোর মধ্যে ইউটিউবের জনপ্রিয়তা সব থেকে বেশি বললে আমি ভুল হবোনা।

YouTube থেকে ইনকাম করার পথে এগিয়ে যেতে আপনাকে সাহায্য করবে বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া অর্থ, ইউটিউব প্রিমিয়াম থেকে পাওয়া টাকা, চ্যানেলের মেম্বারশিপ, সুপার স্টিকার প্রভৃতি। চ্যানেল মনিটাইজ হলেই টাকাতেই টাকা! আপনি ইউটিউব শর্টস ফান্ড পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করলে তো ইউটিউবের তরফে ইনসেন্টিভও পাবেন। 

চ্যানেল মনিটাইজ হওয়ার জন্য ইউটিউবের তরফে আরোপ করা কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়। এই শর্তগুলোকে বিশেষ যোগ্যতা অর্জনের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। করতে পারলেই ইনকাম জেনারেট হতে শুরু করে। এই শর্ত আবার নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিবর্তিত হতে থাকে। বর্তমানে ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজ করার আবেদনের জন্য চ্যানেলটির অন্তত ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও গত ১২ মাসে ৪০০০ বৈধ ওয়াচ আওয়ার্স থাকা প্রয়োজন। 

সত্যি বলতে এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার প্রক্রিয়াটি অনেক সোজা ও সুবিধাজনক। তবে, এক্ষেত্রে আপনাকে ইউটিউবে কিভাবে কাজ করতে হয় এবং আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরির কৌশল গুলো জেনেনিতে হবে।

৪. Google AdSense: 

বিশ্বজুড়ে সর্বাধিক জনপ্রিয়তা অর্জন করা সেরা অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোর মধ্যে একটি হলো গুগল এডসেন্স। Google Adsense-এর মাধ্যমে পাবলিশাররা মাসিক লাখ টাকা পর্যন্তও আয় করে থাকেন। যদিও এই আয়ের পরিমাণ ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ও কন্টেন্টের প্রকৃতির উপরে নির্ভর করে থাকে।

আপনার মাথায় অবশ্যই প্রশ্ন উঠতে পার যে, এই ওয়েবসাইট থেকে আবার কীভাবে টাকা আয় করা সম্ভব?

চলুন বিষয়টা সরল ভাষায় বুঝিয়ে দেওয়া যাক। মূলত দুই পক্ষের সক্রিয়তার দৌলতে পাবলিশাররা অর্থ উপার্জন করে থাকেন। এক্ষেত্রে প্রথম পক্ষ তাঁদের পণ্যের প্রচার করার জন্য গুগলে বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন এবং দ্বিতীয় পক্ষ পাবলিশারের প্রকাশিত কন্টেন্ট পড়তে গিয়ে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে থাকেন। এই দুই পক্ষের কার্যকলাপে ক্লিক, কন্টেন্টের প্রকৃতি, বিজ্ঞাপনের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে লাভের মুখ দেখেন পাবলিশাররা।

জানিয়ে রাখি, গুগলের তরফে প্রদর্শিত ad সমস্ত রকমের ডিভাইস তথা ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ট্যাব ও মোবাইল থেকে দেখতে পাওয়া যায়। অ্যাডসেন্স মূলত CPM, EPC (Earnings Per Click) ও CPC (Cost Per Click)-এর মাধ্যমে টাকা উপার্জনের সুযোগ দেয়। 

৫. Guru Freelancing Website:

Guru.com ওয়েবসাইটের নজরে দক্ষ ফ্রীল্যান্সাররা হচ্ছেন ‘গুরু’ (Guru)। এর মাধ্যমে ‘গুরু’দের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পায় কোম্পানিরা। এই ইন্টারনেট মার্কেটপ্লেসের সূচনা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এটাও আরেকটি অনেক জনপ্রিয় অর্থ উপার্জনকারী freelancing website।

অনেকেই এই ওয়েবসাইটকে ফ্রীল্যান্সারদের ‘প্রথম ঠাঁই’ বলে মনে করেন। বিভিন্ন সংস্থার কাছে যোগ্য, প্রফেশনাল ও অভিজ্ঞ ফ্রীল্যান্সারদের ঠিকানা ধরিয়ে দেয় এই ওয়েবসাইট। উন্নত মানের কাজ দেওয়ার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ফ্রীল্যান্সার ‘গুরু’ পরিবারের সদস্য হয়ে আছেন। 

লেখালেখি-বঙ্গানুবাদ, অ্যাডমিন সাপোর্ট, ম্যানেজমেন্ট, সফটওয়্যার, আইটি ও ওয়েব ছাড়াও লিগ্যাল, সেলস, মার্কেটিং-এর মতো পরিষেবা উপলব্ধ থাকে ‘দক্ষ ফ্রীল্যান্সার’দের ‘গুরু’ ওয়েবসাইটে। এই ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার জন্য আপনার মধ্যে কিছু বিশেষ ট্যালেন্ট অবশই থাকতে হবে, যেগুলোকে পরিষেবা হিসেবে অফার করে অর্থ উপার্জন করা যাবে।  

৬. Facebook Marketplace:

ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে যে কোনো মানুষ জিনিস কেনাবেচা করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এই প্ল্যাটফর্মকে ইউজাররা প্রয়োজন অনুযায়ী ফিল্টার করে ব্যবহার করতে পারেন। অঞ্চল, ক্যাটাগরি ও দামের ভিত্তিতে ফিল্টার করার সুবিধা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষেরই মুশকিল আসান করে দেয়। কিছু বিশেষ জিনিস বাদে প্রায় সবকিছুই ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করা যায়। এর জন্য কিন্তু একটি সক্রিয় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অবশই দরকার। 

এক্ষেত্রে নিয়মিত অর্থ উপার্জনের জন্য অবশ্যই কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। এছাড়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে জিনিসের ফটো অবশ্যই ভালো মানের তুলতে হবে, প্রয়োজনে এডিটও করতে হবে। ফটো পোস্ট করার সময়ে সঠিক কীওয়ার্ড তথা হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি জিনিসের দাম সঠিকভাবে দিতে হবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কাস্টোমারদের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। 

যা আমি আগেই বলেছি, Facebook Marketplace আসলে সরাসরি টাকা ইনকাম করার কোনো ধরণের পার্টনার পোগ্রাম অফার করে থাকেনা। তবে, এর buying & selling platform-টি কাজে লাগিয়ে আপনি অবশই ভালো মানের অর্থ উপার্জন করে নিতে পারবেন। আর তাই facebook marketplace-কে আমি আজকের এই সেরা online money earning website list এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রেখেছি।

৭. Shutterstock থেকে আয় করুন:

এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা আয় করতে পারেন। আপনার মনে হতে পারে, কীভাবে? এটি আসলে ফটো কেনাবেচার প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে আছে এর জাল। দুনিয়ার একপ্রান্তে থেকেও অপর প্রান্তে ছবি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। কেউ ফটো কিনলেই ৪০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা পাওয়া যায়। 

জানিয়ে রাখি, উপার্জনের পরিমাণ প্রোফাইলের লেভেলের উপর নির্ভর করে। যত বেশি কন্টেন্ট লাইসেন্স বিক্রি হবে, লেভেল ততই উপরের দিকে যাবে। ভেক্টর্স, ইলাস্ট্রেশন, ফটো এবং ভিডিওর ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন লেভেল রয়েছে। ফটো তুলতে ও এডিট করতে ভালোবাসলে এই প্ল্যাটফর্ম আপনার জন্য খুবই ভালো প্রমাণিত হতে পারে।

তবে, একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। যে ফটো আপনি শাটারস্টকে বিক্রি করতে চান, আপনার কাছে সেই ফটোর সম্পূর্ণ মালিকানা থাকতে হবে। এককথায় আপনার সব কাজই অরিজিনাল হতে হবে। যদি আপনি সম্পূর্ণ অরিজিনাল এবং ইউনিক ছবি তুলতে জানেন, তাহলে এই ওয়েবসাইট থেকে প্রচুর টাকা ইনকামের সুযোগ তৈরি করে নিতে পারবেন।  

৮. Dreamstime:

ফটো তুলে এডিট করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে থাকেন? আমি বলবো, আপনি আপনার ট্যালেন্টের প্রয়োগ সঠিক জায়গায় করছেন না। আপনি কি জানেন? নিজের তোলা ও এডিট করা ফটো বিক্রি করে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন!

অর্থাৎ আপনার তোলা ফটো শুধুমাত্র আপনার নোটিফিকেশন বক্সে লাইক ও কমেন্টের বন্যা বইয়ে দেওয়ার যোগ্য নয়, আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা আকর্ষণ করারও ক্ষমতা রাখে। আসলে এই ওয়েবসাইটে আপলোড করা ফটো কাস্টোমাররা কিনলে আপলোডকারী ফটোগ্রাফার কিছু শতাংশ কমিশন পেয়ে থাকেন। কমিশনের পরিমাণ ফটোর সাইজ ও বিক্রির সংখ্যার উপর নির্ভর করে।

আয়ের আরও একটু বেশি সুযোগ ও ডিসকাউন্ট চাইলে সেই পথও খোলা রেখেছে ড্রিমস্টাইম (Dreamstime)। এর জন্য ফটোগ্রাফারকে প্ল্যাটফর্মের ‘এক্সক্লুসিভ ফটোগ্রাফার্স’ প্রোগ্রাম’ (Exclusive Photographers’ Program)-এর অংশ হতে হবে। 

৯. BananaBucks:

ফ্রীল্যান্সিং করতে চান না? ফটো তুলতে ও এডিট করতে পারেন না? জিনিস বিক্রিরও তেমন একটা ইচ্ছে নেই? ভাবছেন, এইবারে তাহলে কীভাবে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করবেন? চিন্তা নেই। কারণ ভিডিও দেখে, অনলাইনে গেম খেলে বা সার্ভেতে অংশগ্রহণ করেও টাকার মুখ দেখতে পারেন। ওয়েবসাইটটির নাম হল বানানাবাক্স (BananaBucks)।

এই Income করার website থেকে অধিক টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে এর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের অংশ হতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি বাড়িতে বসে কমিশন পাবেন শুধুমাত্র পরিবার ও বন্ধুদের প্ল্যাটফর্মে আমন্ত্রণ জানালেই। এছাড়াও রয়েছে ‘বানানাবাক্স স্টোর’। এই স্টোরের মাধ্যমে এক্সক্লুসিভ ডিল ও ডিসকাউন্ট পাওয়ার সুযোগ পাবেন আপনি।

১০. ySense.com

ySense একটি অনেক জনপ্রিয় GPT (Get Paid To) money earning website। এই website থেকে ইনকাম করার উপায়গুলিও অনেকটাই সোজা। এখানে আপনারা মূলত Paid Survey গুলো সম্পূর্ণ করে এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের এই ওয়েবসাইটটি রেফার করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইটটিতে উপলব্ধ নানান cash offers গুলোকে সম্পূর্ণ করেও এক্সট্রা ক্যাশ ইনকাম করা যাবে।

Apps ডাউনলোড করা, নানান website গুলোতে sign up করা, ভিডিও দেখা, ইত্যাদি এই ধরণের নানান cash offers গুলো এখানে পেয়ে যাবেন। ySense থেকে আয় করা টাকা আপনারা সরাসরি PayPal-এর দ্বারা নিজের bank account-এ ট্রান্সফার করে নিতে পারবেন। ySense থেকে ইনকাম করার উপায় গুলো বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি অবশই পড়ুন।

১১. Freecash.com

Freecash হলো এমন একটি Get Paid To Website যেখানে নানান ধরণের ছোট ছোট মাইক্রো টাস্ক গুলো সম্পূর্ণ করে রিওয়ার্ড আয় করা যেতে পারে। এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনারা নানান টাস্ক গুলো সম্পূর্ণ করতে পারেন। যেমন, গেম খেলা, ভিডিও দেখা, পেইড সার্ভে সম্পূর্ণ করা, অ্যাপস গুলোতে কিছু নির্দিষ্ট স্টেপ সম্পূর্ণ করা বা নানান ওয়েবসাইটে বা পরিষেবা গুলোর জন্য সাইন আপ করা।

ওয়েবসাইটটির থেকে ইনকাম করা টাকাগুলো আপনারা নানান মাধ্যমে তুলে নিতে পারবেন। যেমন, PayPal, Bitcoin, Bank Transfer, ইত্যাদি। এছাড়া আপনি চাইলে Giftcards হিসেবেও আয় করা রিওয়ার্ড পয়েন্ট গুলোকে রেডিম করে নিতে পারবেন। Freeacsh সাইটে সম্পূর্ণ ফ্রীতে একাউন্ট তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারবেন।

আপনি চাইলে Freecash থেকে ইনকাম করা নিয়ে লেখা আমাদের এই সম্পূর্ণ বিস্তারিত আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

FAQ’S On Best Websites To Earn Money Online:

১. অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা ওয়েবসাইট গুলো কি কি?

বর্তমান সময়ের সেরা কয়েকটি অনলাইন ইনকাম ওয়েবসাইট গুলো হলো, Swagbucks, InboxDollars, Fiverr, ySense, Survey Junkie, Freecash, AdSense, YouTube, এবং আরো আছে। উল্লেখ করা এই প্রতিটি অর্থ উপার্জনকারী ওয়েবসাইট গুলো আলাদা আলাদা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিয়ে থাকে, যেমন সার্ভের উত্তর দেওয়া, মাইক্রো টাস্ক গুলো সম্পূর্ণ করা, ফ্রিল্যান্সিং ভিডিও আপলোড করা বা দেখা ইত্যাদি।

২. কত টাকা উপার্জন করতে পারবেন এই সাইট গুলোর থেকে?

সাইট গুলোর থেকে আপনি কতটা ইনকাম করবেন সেটা সম্পূর্ণভাবে নানান উপাদান গুলোর উপর নির্ভর করছে। যেমন, আপনি কোন প্লাটফর্মে কাজ করছেন, কতটা সময় বিনিয়োগ করছেন, হার্ডওয়ার্ক করছেন কি না, ইত্যাদি। কিছু কিছু ওয়েবসাইটে সম্পূর্ণ করা প্রতিটি সার্ভের জন্য উচ্চতর পেআউট অফার করা হয়। আবার কিছু কিছু সাইটে অনেক কম পরিমান রিওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তাই, আপনি কোন প্লাটফর্ম বা সাইটে কাজ করছেন সেটা হলো আসল বিষয়।

৩. ওয়েবসাইটগুলিতে কাজ করার জন্য কি কোন বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন আছে?

তেমন কোনো বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয়না। কেননা, এই ধরণের বেশিরভাগ অনলাইন ইনকাম সাইট গুলোতে এমন টাস্ক এবং সার্ভে গুলো অফার করা হয় যেগুলো সম্পূর্ণ করার জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয়না। তবে যদি আপনি Fiverr, Upwork, Shutterstock, ইত্যাদি এই ধরণের ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করেন, সেক্ষেত্রে কাজের সাথে জড়িত দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার প্রয়োজন অবশই হবে।

আজকে আমরা কি জানলাম?

দেখুন বন্ধুরা, যখন আমরা অনলাইনে নিজের খালি সময়ে কাজ করে কিছু extra money income করার কথা ভাবি, তখন আমাদের সামনে নানান বিকল্প থেকে থাকে। আর এই বিকল্প গুলোর মধ্যে রয়েছে কিছু জনপ্রিয় ও লাভজনক money earning website গুলো। এবার আপনি আপনার দক্ষতা এবং ইন্টারেস্ট হিসেবে নিজের পছন্দমতো ওয়েবসাইট সিলেক্ট করে সেখানে কাজ শুরু করতে পারবেন। যেমন ধরুন, যদি আপনি এমন একজন ব্যক্তি যে ছবি তুলতে পছন্দ করেন বা ছবি তোলার দক্ষতা জানা আছে, তাহলে shutterstock-এর মতো stock image website গুলোতে ছবি বিক্রি করিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

আবার এগুলো ঝামেলা না করে ছোট ছোট সাধারণ কাজ গুলো করে রিওয়ার্ড আয় করতে চাইলে, freecash বা ySense এর মতো সাইট গুলোকেও কাজে লাগাতে পারবেন। তাহলে আশা করছি, অনলাইনে income করার website গুলো নিয়ে লেখা আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের অবশই পছন্দ হয়েছে। আর্টিকেলের সাথে রিলেটেড কোনো ধরণের প্রশ্ন বা পরামর্শ থাকলে নিচে কমেন্ট করে অবশই জানিয়ে দিবেন।

Leave a Comment